Razakar Kamarujjaman

নির্লজ্জ ঘাতক কামারুজ্জামানের হাক্বীক্বত
জমায়েতে মওদুদী নেতা বেহায়া ঘাতক কামারুজ্জামান ৯ম সংসদ নির্বাচনেও ভোটপ্রার্থী হয়ইতঃপূর্বে পরপর ৪ বার শেরপুরের মানুষ তাকে প্রত্যাখ্যান করলেও হাল না ছেড়ে শেরপুর-১ (সদর) আসনে ৫ম বারের মত ফের এই বেহায়া ঘাতক চারদলীয় জোটের প্রার্থী হয়আবারো জমায়েতে মওদুদী নেতা বেহায়া ঘাতক কামারুজ্জামানকে শেরপুরবাসী চরম ঘৃণাভরে ছুঁড়ে ফেলেছেএ আসনে তার প্রধান cÖwZ™^›Øx শেরপুরের কনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা সাবেক এমপি মহাজোট প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আতিউর রহমান আতিকের কাছে  শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে সে
জানা গেছে, কামারুজ্জামান মুক্তিযুদ্ধের সময় আলবাদর বাহিনীর সংগঠক ছিলযুদ্ধাপরাধী ও ¯^vaxbZvwe‡ivax হিসেবে তার বিরুদ্ধে রয়েছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগশেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের মুদিপাড়ার বাসিন্দা কৃষক পরিবারের সন্তান কামারুজ্জামান ৫ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে তৃতীয়কামারুজ্জামান এবং তার আলবাদর বাহিনী ১৯৭১ সালে শেরপুরসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহে ¯^vaxbZvKvgx‡`i হত্যা, নির্যাতন ও সম্পদ লুণ্ঠনসহ ঘৃণ্যতম অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ রয়েছেড. মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত মুক্তিযুদ্ধ কোষ গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে- দেশে হাতেগোনা ১০ কুখ্যাত নরঘাতকের মধ্যে এই কামারুজ্জামান একজন
বর্তমানে সে সাপ্তাহিক সোনার বাংলার সম্পাদক এবং বাংলাদেশ জমায়েতে মওদুদীর কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল
একাত্তরের ঘাতক-দালাল ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে গঠিত জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে ¯^vaxbZv যুদ্ধের সময় কামারুজ্জামানের ¯^vaxbZvwe‡ivax অপতৎপরতা এবং যুদ্ধাপরাধের বিবরণ তৎকালীন সংবাদপত্র, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ ও নির্যাতিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা গেছে১৯৭১ সালে কামারুজ্জামান জমায়েতে মওদুদীর তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রসংঘের ময়মনসিংহ জেলার নেতা ছিলমুক্তিযুদ্ধের সময় জামালপুরে প্রথম আলবাদর বাহিনী গড়ে উঠে, যার প্রধান সংগঠক ছিল সে
১৯৭১ সালের ১৬ আগস্ট দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের ২৩তম আজাদী দিবস উপলড়্গে গত শনিবার মোমেনশাহী আলবাদর বাহিনীর উদ্যোগে মিছিল ও সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়স্থানীয় মুসলিম ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ওই সিম্পোজিয়ামে সভাপত্বি করে আলবাদর বাহিনীর প্রধান সংগঠক কামারুজ্জামান
পরীক্ষা শেষে শেরপুর কলেজের ছাত্র গোলাম মোস্তফাকে ১৯৭১ সালের ২৪ আগস্ট কামারুজ্জামানের আলবাদর বাহিনী রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যায় শহরে স্থাপিত  টর্চার ক্যাম্পেপাকিস্তানি বাহিনী শহরের একটি বাড়ি দখল করে টর্চার ক্যাম্প বানিয়েছিলসেই ক্যাম্পে গোলাম মোস্তফাকে শারীরিক নির্যাতনের পর রাত ৮টার দিকে শহরের দড়্গিণ প্রান্তে শেরীব্রিজ এলাকায় নিয়ে গুলি করে আলবাদর ঘাতকরা নৃশংসভাবে হত্যা করেএমন অভিযোগ করেন গোলাম মোস্তফার ছোট ভাই মোশাররফ হোসেন তালুকদারঘাতক কামারুজ্জামানের নির্দেশে জিকে স্কুলের ছাত্র কাজল এবং কায়সারকে হত্যা করা হয়
গণতদন্ত কমিশনের রিপোর্ট অনুসারে, নালিতাবাড়ি উপজেলার বদিউজ্জামানকে মুক্তিযুদ্ধের সময় কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে ১১ জনের একটি দল ধরে নিয়ে ঝিনাইগাতীর আহমদনগর পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে হত্যা করেএ তথ্য জানিয়েছেন বদিউজ্জামানের পিতা ফজলুল হক
১৯৭১ সালের মে মাসের মাঝামাঝি শেরপুরের জনপ্রিয় শিক্ষক অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল হান্নানকে মুখে চুনকালি মেখে, গলায় জুতার মালা পরিয়ে, অর্ধউলঙ্গ অবস্থায় বেহায়া ঘাতক কামারুজ্জামানের দলবল শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরিয়ে চরমভাবে অপমানিত ও অপদস্থ করে
সম্প্রতি ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি এবং মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ঘোষিত শীর্ষ ৫০ যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় ৩ b¤^‡i রয়েছে ঘাতক কামারুজ্জামানের নামগত ১২ b‡f¤^i ২০০৮ ঈসায়ী শেরপুরে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম/মুক্তিযোদ্ধা ৭১-এর মতবিনিময় সভায় শেরপুর জেলার ১২ জন যুদ্ধাপরাধীর নাম ঘোষণা করা হয়এতে জমায়েতে মওদুদী নেতা কামারুজ্জামানের নাম ছিল শীর্ষস্থানে
এদিকে, ঢাকার কেরানীগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্‌ফর আহমেদ খান বাদি হয়ে ২০০৭ সালের ১৭ wW‡m¤^i মুখ্য মহানগর আদালতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার এক নিকটাত্মীয়কে হত্যার অপরাধে মইত্যা রাজাকার নিজামী ও মুজাহিদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেনবেহায়া ঘাতক কামারুজ্জামান সেই মামলারও আসামি
AvZ¥¯^^xK…Z আলবাদর কর্মী এবং মুক্তিযুদ্ধকালে শেরপুর শহরে পাকিস্তানি বাহিনীর টর্চার ক্যাম্পের পাহারাদার মোহন মিয়া জানান, কামারুজ্জামানের নির্দেশে প্রতিনিয়তই সেখানে নিরীহ মানুষকে ধরে নিয়ে নানাভাবে নির্যাতন চালানো হতোকাউকে কাউকে নির্যাতন শেষে হত্যা করা হতো
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শিক্ষাবিদ মহসীন আলী জানান, মুক্তিযুদ্ধের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির অনুসন্ধানে কামারুজ্জামান শেরপুর অঞ্চলে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলঅবশ্যই তার বিচার হওয়া উচিতমুক্তিযুদ্ধের ছাত্র সংগঠক আমজাদ হোসেন জানান, আলবাদর কামরানের কথা বলে কামারুজ্জামানের অপকর্ম ঢাকার অপচেষ্টা চালানো হয়এজন্য তার ফাঁসি চাই
ঘাতক কামারুজ্জামান সম্পর্কে একাত্তরের ঘাতক দালাল ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১৬ আগস্ট দৈনিক সংগ্রামে, প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ২৫তম আজাদী দিবস উপলক্ষে গত শনিবার মোমেনশাহী আলবাদর বাহিনীর উদ্যোগে মিছিল ও সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়স্থানীয় মুসলিম ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এ সিম্পোজিয়ামে সভাপতিত্ব করে আলবাদর বাহিনীর প্রধান সংগঠক কামারুজ্জামানএক তার বার্তায় প্রকাশ, সিম্পোজিয়ামে বিভিন্ন বক্তা- দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত দুশমনদের সম্পর্কে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে
শেরপুরের সন্তানহারা এক পিতা ফজলুল হক গণতদন্ত কমিশনকে জানিয়েছেন, তার ছেলে বদিউজ্জামানকে মুক্তিযুদ্ধের সময় আষাঢ় মাসের একদিন তার বেয়াইয়ের বাড়ি থেকে কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে ১১ জনের একটি দল ধরে নিয়ে যায়বদিউজ্জামানকে ধরে আহমদনগর পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়¯^vaxbZvi পর বদিউজ্জামানের বড় ভাই হাসানুজ্জামান বাদি হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেনএ মামলায় ১৮ জন আসামির অন্যতম ছিল কামারুজ্জামানমামলাটির b¤^i-2(5)72| জিআর নং-২৫০(২)৭২
রিপোর্টে বলা হয়- শেরপুর জেলার গোলাম মোস্তফার চাচাতো ভাই শাহজাহান তালুকদার জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের ২৪ আগস্ট আলবাদররা গোলাম মোস্তফাকে শেরপুর শহরের সড়ক থেকে ধরে বলপূর্বক তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়টর্চার ক্যাম্পে গোলাম মোস্তফাকে ধরে নিয়ে আলবাদররা তার গায়ের গোস্ত ও রগ কেটে, হাত বেঁধে হাটিয়ে নিয়ে যায় শেরী ব্রিজের নিচেসেখানে তারা গুলি করে হত্যা করে গোলাম মোস্তফাকেকামারুজ্জামানের প্রত্যক্ষ নির্দেশে এ হত্যাকান্ডটি ঘটেছিলগোলাম মোস্তফার হত্যাকান্ড যে কামারুজ্জামানের ™^viv সংঘটিত হয়েছিল এ তথ্য শেরপুরের আরো অনেকেই দিয়েছেন(সঙ্কলিত)