Razakar Habirur Rahman (Chuadanga-2)

রাজাকার  মাওলানা হাবিবুর রহমানের হাক্বীক্বত
দামুড়হুদা, জীবননগর ও চুয়াডাঙ্গা সদর নিয়ে গঠিত চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ৯ম সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হয়েছিল জমায়েতে মওদুদীর নেতা কুখ্যাত ঘাতক মাও. হাবিবুর রহমানকিন্তু দৈনিক আল ইহসানে যুদ্ধাপরাধী ঘাতক রাজাকার মাও. হাবিবুর রহমানের কুৎসিত হাক্বিক্বত তুলে ধরা হলে এলাকার মানুষ সচেতন হন এবং এই নরঘাতককে চরম ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেনির্বাচনে তার অপমানজনকভাবে ভরাডুবি হয়
কুখ্যাত ঘাতক মাও. হাবিবুর রহমান জমায়েতে মওদুদীর জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির মজলিসে শূরা সদস্যএকাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় সে ছিলো জীবননগর শান্তিকমিটির সদস্যদেশ ¯^vaxb হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় দালাল আইনে যে ৭৫২ জন যুদ্ধাপরাধীর বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি হয়েছিল তাদের মধ্যে এই হাবিবুর রহমানও ছিলো১৯৭২ সালের পহেলা জানুয়ারি তাকে দালাল আইনে গ্রেফতার করা হয়পরে জিয়াউর রহমান সরকার দালাল আইন বাতিল করলে অন্যদের সঙ্গে সেও ছাড়া পায়
১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন্সের প্রকাশিত এএসএম সামছুল আরেফিন সংকলিত ও সম্পাদিত রাজাকার ও দালাল অভিযোগে গ্রেফতারদের তালিকা, wW‡m¤^৭১-মার্চ ৭২ গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে রাজীব আহমেদ সম্পাদিত চুয়াডাঙ্গায় মুক্তিযুদ্ধ প্রত্যক্ষ বিবরণ গ্রন্থের ৬২ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে- রাজাকার ও দালাল হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলায় (তৎকালীন মহকুমা) গ্রেফতার ১১৬ জনের তালিকা করা হয়েছেস্থানীয় জনগণ এদের কর্তৃপক্ষের কাছে সোপর্দ করেন অথবা জনগণের সহযোগিতায় মুক্তিবাহিনী বা আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এদের গ্রেফতার করেন
ওই গ্রন্থে গ্রেফতারদের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তার জীবননগর থানা অংশে মাও. হাবিবুর রহমানের নাম উল্লেখ রয়েছে
রাজীব আহমেদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চুয়াডাঙ্গা জেলা শীর্ষক গ্রন্থে বলা হয়েছে, ...জীবননগরের ডা. শামসুজ্জোহা প্রথমদিকে শান্তিকমিটির সভাপতি ও পরে মাও. হাবিবুর রহমান শান্তিকমিটির সভাপতি হয়। (পৃ. ৩০০)
এছাড়া জীবননগরের মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন ও জীবননগর কলেজের প্রভাষক মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় অনেকে জানিয়েছেন, একাত্তরে জীবননগরে পাকসেনাদের একটি শক্তিশালী ঘাঁটি ছিলঐ ঘাঁটির মূল নিয়ন্ত্রক ছিলো মাও. হাবিবুর রহমানসে ¯^vaxbZvwe‡ivax‡`i নেতৃত্ব দিততার নেতৃত্বেই কয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাককে হাসাদহ ক্যাম্পে নিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়
¯^vaxbZvi পর মাহফিল ও ধর্মীয় সভায় বক্তব্য দিয়ে অর্থাৎ বক ধার্মিক সেজে এলাকার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠে মাও. হাবিবুর রহমানসেটিকে পুঁজি করে জাতীয় রাজনীতিতে জায়গা করে নেয় সে১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে এই আসনে জমায়েতে মওদুদীর প্রার্থী হিসেবে ৪৯ হাজার ৬৮৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করে সেওই নির্বাচনে তার নিকটতম cÖwZ™^›Øx ছিলেন বিএনপির মোজাম্মেল হকতিনি পেয়েছিলেন ৪০ হাজার ২০ ভোট
কামিল পাস মাও. হাবিবুর রহমানের ছাত্রজীবন কাটে কুমিল্লায়সেখান থেকেই দাখিল পাস করে সেছাত্রজীবন থেকেই  সে জমায়েতে মওদুদীর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্তএক সময় জমায়েতে মওদুদীর জেলা কমিটির নায়েবে আমির ছিল সে
¯^vaxbZv যুদ্ধে মাও. হাবিবুর রহমানের ভূমিকা প্রসঙ্গে জানা গেছে ওই সময় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মাও. হাবিবুর রহমানের বেশ সখ্য ছিল
চুয়াডাঙ্গা-২ নির্বাচনী এলাকার অনেকে অভিযোগ করেছেন, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর হাবিবুর রহমান এলাকার কোনো উন্নয়ন করেনিগলাইদড়ি ঘাটের উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ ছাড়া ঐ সময়ে আর কোনো কাজ হয়নি(সঙ্কলিত)