Razakar Info

AZAM, GOLAM **
(GXA328)
Dhanmondi
DHAKA, DHAKA 1200
BD
Phone: NOT AVAILABLE
Fax: 123 123 1234

Domain Name: RAZAKAR.COM

Administrative Contact :
AZAM, GOLAM **
(GXA328)
golamazam@...
Dhanmondi
DHAKA, DHAKA 1200
BD
Phone: NOT AVAILABLE
Fax: 123 123 1234

Technical Contact :
Azam, Golam
(GA5973)
golamazam@...
Dhanmondi
Dhaka, Dhaka 1200
BD
Phone: Not Available

Record expires on 16-Dec-2010
Record created on 16-Dec-2000
Database last updated on 30-Jun-2004

Domain servers in listed order: Manage DNS

NS.ADDR.COM 209.249.147.233
NS2.ADDR.COM 209.249.147.237

==============================================================

dekha jacche je domain-ti register korechen aamader bikhato RAZAKAR
MR. GOLAM AZAM ebong site-ti host kora-r jonno www.addr.com use
korechen ebong...ei domain-ti uni register korechilen
www.networksolutions.com theke

Mone korlam ekhaney share kori...

Regards,
Bangali Atheist
ফিরে দেখা ইতিহাস
ঘাতক রাজাকার, আল-বাদর মওদুদী জামাতী, দেওবন্দী খারিজী, ওহাবী সালাফীদের দিনলিপি
১৩ এপ্রিল, ১৯৭১ ঈসায়ী
 
মরণপণ লড়াই করছিলো যেমন স্বাধীনতাকামী জনতা, তেমনি বসে ছিল না পাক বাহিনীর দোসররা। ঢাকা শহরের পাড়া-মহল্লার সব দালালদের জড়ো করে মিছিলের আয়োজন করা হয় এদিন। দেশবাসীর মধ্যে ভীতি ছড়ানোই ছিলো এ মিছিলের উদ্দেশ্য। শান্তিকমিটি গঠনের পর এটাই ছিলো তাদের বড় কর্মসূচি। রাঘব বোয়াল থেকে শুরু করে ক্ষুদে দালালরা অংশ নেয় এ মিছিলে। ১৩ এপ্রিলের এ মিছিলের সামনের কাতারে ছিলো কুখ্যাত ঘাতক গো’ আ’যম, খাজা খয়ের উদ্দিন, পিডিবি নেতা মাহমুদ আলী, কাউন্সিল মুসলিম লীগ নেতা একিউএম শফিকুল ইসলাম, জনাব সদরুদ্দিন, এ.টি. সাদী, আবুল কাসেম, আব্দুল জব্বার খদ্দর, আজিজুল হক, কেএসপি নেতা এএসএম সোলায়মান, মেজর আফসার উদ্দিন, একে রফিকুল হোসেন, আতউল হক, অ্যাডভোকেট শফিকুর রহমান, জুলমত আলী, কবি বেনজীর আহমদ, তথাকথিত পীর মোহসেন উদ্দিন। জীপে চড়ে এসে সবুর খান এ মিছিলে যোগ দেয়।
মিছিলকারীরা টিক্কা-আইয়ূর-জিন্নাহ-পাক বাহিনীর নামে জিন্দাবাদ ধ্বনি দেয়। মিছিল শেষে খাজা খয়ের উদ্দিন মিছিলকারীদের উদ্দেশ্যে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে শত্রু (মুক্তিযোদ্ধা) নিধনের উপদেশ দেয়। ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তান এবং পাক সেনাদের বিজয় কামনা করে মোনাজাত করে গো’ আ’যম। পূর্বদেশ সম্পাদকীয় নিবন্ধে এ মিছিলের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বলা হয়, বর্তমান পরিসি'তিতে এ মিছিল অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে, পাকিস্তান প্রেমিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে উৎসাহ যোগাবে। সরকারি প্রেসনোটের মাধমে প্রচার করা হয়, দিনাজপুর থেকে মুক্তিযোদ্ধা উৎখাতের খবর। পাক সেনারা এসময় বেপরোয়া আক্রমণ চালায় কুমিল্লায়। লোকজনসহ ব্যাপক ক্ষতি হয় কুমিল্লার। কিন' ১৩ এপ্রিলের দৈনিক পাকিস্তানের এক প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয় এ খবর। প্রতিবেদক জানায়, একটা গুলির শব্দও শোনা যায়নি। কুমিল্লায় শান্তিকমিটির উদ্যোগে মিছিল হয় এদিন।
সরকারি প্রেসনোটে বলা হয়, দিনাজপুর থেকে দুষ্কৃতিকারীদের উৎখাত করা হয়েছে। বাংলাদেশের গণহত্যার সঠিক চিত্র কোনো সংবাদ মাধ্যমেই ঠিকমতো প্রচার হয়নি এ সময়। বিবিসি’সহ কিছু বিদেশী পত্র-পত্রিকা দায়সারা গোছের দায়িত্ব পালন করেছে এ ব্যাপারে। ঢাকায় আক্রমণ চালানোর শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা এবং পুরানো ঢাকা এলাকাকে গুড়িয়ে দেয়া হয়। পাক বাহিনী স্বাধীনতাকামী প্রতিটি মানুষের উপরই নির্যাতন চালিয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মচারিরাও যোগ দেয় মুক্তিযুদ্ধে। অফিসগুলো ছিলো এ সময় ফাঁকা। স্বাধীনতার ডাকে বেরিয়ে এসেছে যারা, তাদের উপর চরম নির্দেশ জারি করা হয়। এদিন ২১ এপ্রিলের মধ্যে কাজে যোগ দেবার হুমকি দেয়া হয়- কাজে যোগ না দিলে ১২০নং সামরিক আইনে বিচার করা হবে।
দৈনিক পাকিস্তানের প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ১নং সেক্টরের সামিরক আইন উপ-প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে ব্রিগেডিয়ার আরবাবকে সরিয়ে ব্রিগেডিয়ার কাশিমকে নিয়োগ করা হয়েছে। পিপলস পার্টি নেতা ভুট্টো নির্বাচনে পরাজিত হয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথে না গিয়ে ইন্ধন যোগায় গণহত্যার পরিকল্পনায়। এদিন তিনি এক সভায় বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ দেশে এক ভয়াবহ পরিসি'তির সৃষ্টি করেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে উল্লেখ করেন তাদের, যারা আওয়ামী লীগের (তথা এদেশের মানুষের) ন্যায় সঙ্গত অধিকার নিয়ে কথা বলছিলো। তার বক্তব্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় সরকার গঠনের ষড়যন্ত্রের। পাকিস্তান জমিয়তে উলেমা ইসলামের জেনারেল সেক্রেটারি মৌলানা গোলাম গাউস হাজরভী এদিন এক সাক্ষাৎকারে বলে যে, শেখ মুজিব কোনোদিনই পাকিস্তানের জনগণের মঙ্গল চায়নি। সব সময়ই চেষ্টা করেছে পাকিস্তান ধ্বংসের। কিন' কোনো চক্রান্তই পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে পারবে না।
(তথ্যসূত্র: ১৩, ১৪, ১৫, ১৬ এপ্রিল, দৈনিক পাকিস্তান, পূর্বদেশ, আজাদ, ১৯৭১ ঈসায়ী।)

08 April 1971

ফিরে দেখা ইতিহাস
ঘাতক রাজাকার, আলবাদর জামাতী-খারেজীদের দিনলিপি
৮ এপ্রিল, ১৯৭১ ঈসায়ী

রাজাকার ইনফো: এ সময় মুসলিম লীগ নেতা কাজী আব্দুল কাদের পশ্চিম-পাকিস্তানে অবস্থান করছিল। কাজী কাদের এদিন করাচীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলে যে, পূর্ব-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক অরাজকতার (মুক্তিযুদ্ধের) জন্যে শেখ মুজিব ও তার বেআইনি ঘোষিত আওয়ামী লীগ দায়ী। সে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রশংসা করে বলে যে, তারা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) হাত থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচিয়েছে। পূর্ব-পাকিস্তানের জনগণ দেশকে বিচ্ছিন্ন করে ভারতের হাতে তুলে দেবার জন্যে ভোট দেয়নি। কাজী কাদের সমাজবিরোধী দুষ্কৃতকারীদের খতম করে দেশে  অবস্থা ফিরিয়ে আনতে পূর্ব-পাকিস্তানি মুসলমানদের সেনা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করার আহবান জানায়।
পূর্ব-পাকিস্তান প্রাদেশিক মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট শামসুল হুদা বলে যে, কোনো দেশপ্রেমিক মুসলমান পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে সম্প্রসারণবাদী ভারতের নির্লজ্জ ও অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপে উদ্বিগ্ন না হয়ে পারে না। ভারতীয় সরকারি রেডিও ‘আকাশবাণী’র প্রচারিত খবরকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কল্পিত বলে উল্লেখ করে সে দৃঢ় আস্থা নিয়ে বলে যে, কোনো প্রচারণাই দেশপ্রেমিক পাকিস্তানিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারবে না।
ন্যায্য অধিকারকে কেড়ে নিয়ে পাকিস্তানি শাসকচক্র এদেশের মানুষের উপর লেলিয়ে দেয় পাক সেনা বাহিনীকে। অথচ জাতীয় পরিষদের সাবেক ডেপুটি স্পীকার এটিএম আব্দুল মতিন দেশের পরিস্থিতির জন্যে দায়ী করেন ভারতকে। তিনি বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থনে পার্লামেন্টে প্রস্তাব গ্রহণ, অনুপ্রবেশকারী পাঠানো এবং মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে ভারত গোলযোগ বাড়িয়ে চলেছে।
এসময় গত কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাক বাহিনী বিমান থেকে বোমা বর্ষণ করে। বেপরোয়া বোমা বর্ষণের ফলে টার্গেট এলাকাসমূহ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এদিন ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স ডাইরেক্টরেটর এক প্রেস রিলিজে পাকিস্তান বিমান বাহিনী বোমা বর্ষণের কথা করে বলে, পূর্ব-পাকিস্তানের আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সশস্ত্র বাহিনীকে সাহায্য করেছে মাত্র, বিমান বাহিনী কেবল দুষ্কৃতকারী ও অনুপ্রবেশকারীরা যেসব বাধা সৃষ্টি করেছে তা অপসারণ করেছে। কোনো শহর বা জনবহুল এলাকায় হামলা করেনি। 
পাক-চীন মৈত্রী সমিতির সভাপতি শেখ মমতাজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে এদিন সমিতির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বরাবরের মতো এবার পূর্ব-পাকিস্তানের ঘটনাবালীতে প্রকৃত বন্ধুর ন্যায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার জন্যে গণচীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
ইন্দোনেশীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পূর্ব-পাকিস্তানে গণহত্যা চালানোর প্রতিবাদে সেখানকার পাকিস্তানি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাত্রদের এ আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, পাকিস্তানে যা ঘটেছে তা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের মাথা ব্যাথার কোনো কারণ নেই। (তথ্যসূত্র: পূর্বদেশ, পাকিস্তান ৯, ১০ এপ্রিল ১৯৭১ ঈসায়ী।)

07 April 1971

ফিরে দেখা ইতিহাস
ঘাতক রাজাকার, আলবাদর জামাতী-খারেজীদের দিনলিপি
৭ এপ্রিল, ১৯৭১ ঈসায়ী

রাজাকার ইনফো: পূর্ব-পাকিস্তান জামাতের আমীর অধ্যাপক গো’ আযম, প্রচার সম্পাদক নুরুজ্জামান এবং ঢাকা জামাতের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম সরোয়ার এক যুক্ত বিবৃতিতে জানায়, পূর্ব-পাকিস্তানিরা কখনই পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও অখ-তার উপর আঘাত আসতে দেবে না। তারা ভারতকে পাকিস্তানের চিরশত্রু হিসেবে উল্লেখ করে বলে যে, ভারত অযথা আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে। ধর্মব্যবসায়ী জামাতের নেতারা ভারতীয় ভূমিকার তীব্র নিন্দা করে বলে যে, আমরা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি, দেশপ্রেমিক পূর্ব-পাকিস্তানিরা অনুপ্রবেশকারীদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) খতম করে দেবে। পূর্ব-পাকিস্তানিরা ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদকে সার্বভৌমত্ব নিয়ে খেলা করতে দেবে না।
পাকিস্তান জামাতের প্রধান মাওলানা মওদুদী পূর্ব-পাকিস্তানের মুসলমানদের বাংলাদেশ আন্দোলন সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলে যে, কতিপয় দেশদ্রোহী পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করে তুলেছে। যদি বিচ্ছিন্নতাবীদীরা (মুক্তিযোদ্ধারা) সফল হয় তবে তারা গোলামে পরিণত হবে।
এদিন জাতীয় পরিষদের প্রাক্তন নেতা আব্দুস সবুর খান ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক প্রশাসক লে. জেনারেল টিক্কা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সে তার দলের পক্ষ থেকে জেনারেলকে নিশ্চয়তা দেয় সেনা বাহিনীকে পূর্ণ সহযোগিতা করার। টিক্কা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইরান ও ইন্দোনেশিয়ার কনসাল জেনারেল।
প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক এএনএম ইউসুফ জানায়, পূর্ব-পাকিস্তানে বাংলাদেশ বলে কোন সরকারের অস্তিত্ব নেই। অথচ ভারত এ ব্যাপারে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রচারণা চালিয়ে পূর্ব-পাকিস্তানের জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। সে দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করে যে, বহু কষ্টে আমরা পাকিস্তান লাভ করেছি। জীবন দিয়ে হলেও আমরা তাকে রক্ষা করবো।
এদিন ঢাকা শহর মুসলিম ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কেজি করিম দুষ্কৃতিকারী ও ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের (তথা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে) বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সেনা বাহিনীর পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানায়।
 সংগ্রামে ভারতীয় ভূমিকা সমালোচনা করে বিবৃতি দেয় পূর্ব-পাকিস্তান জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সভাপতি তথাকথিত পীর মোহসেন উদ্দিন আহমদ।
আঞ্জুমান-ই মোহাজেরিন মাশরেকী পাকিস্তানের সভাপতি দেওয়ান ওয়ারাসাত হোসাইন খান জানায়, আল্লাহ তা’য়ালা আর একবার পাকিস্তানকে রক্ষা করেছে। সে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে নিশ্চয়তা দিয়ে বলে যে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও সংহতির নিশ্চয়তা বিধানের চেয়ে মোহাজেররা আর কিছু বড় মনে করে না। মোহাজেররা পাকিস্তান রক্ষায় যেকোন ত্যাগ করবে।
জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আগাশাহী সেক্রেটারি জেনারেল উথান্টের কাছে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
পাকিস্তানকে সহায়তা করার প্রতিবাদে ভারতের চীনা দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের প্রতিবাদ জানায় চীন। প্রতিবাদ জানায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের। প্রেসিডেন্টের কার্যক্রমের প্রতি সমর্থনদানের আবেদন জানায় রাওয়ালপিন্ডি বার সমিতির ৮০ জন আইনজীবী। তারা বলে যে, দুশমনদের উস্কানি এবং ঘৃণ্য চক্রান্তের ফলে পূর্ব-পাকিস্তানে উদ্ভূত সঙ্কট মোকাবেলা করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা নামধারী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমালোচনা করে লিবীয় দৈনিক ‘আলহরিয়ার’সহ অন্যান্য পত্রিকা। এদিকে দিন দিন পাক বাহিনী ও এদেশীয় ঘাতক হানাদারদের পরিকল্পিত হামলার মাত্রা বাড়ছিল। সিলেট, রাজশাহী, রংপুর এবং আশপাশের এলাকায় তারা হামলা চালিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেয় অনেক জনপদ।
(তথ্যসূত্র: দৈনিক পাকিস্তান, পূর্বদেশ, ধর্মব্যবসায়ী ঘাতক জামাতীদের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম ৯, ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ ঈসায়ী।)

06 April 1971

ফিরে দেখা ইতিহাস
ঘাতক রাজাকার, আল-বাদর মওদুদী জামাতী, দেওবন্দী খারিজী, ওহাবী সালাফীদের দিনলিপি
৬ এপ্রিল, ১৯৭১ ঈসায়ী

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া পুনর্বার ঘোষণা করেন পাকিস্তান তার অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অন্যকোনো দেশের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না। তিনি সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট মি. পদগর্নীর ৩ এপ্রিল প্রদত্ত বাণীর জবাব দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের বর্তমান ঘটনায় ভারতের প্রকাশ্য ও নির্লজ্জ হস্তক্ষেপের একমাত্র কারণ হচ্ছে কিছু সংখ্যক লোককে সক্রিয় সহযোগিতা দিয়ে গোলযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে পরিসি'তিকে আরো উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলা। ভারতের এ ধরনের আচরণ সম্পূর্ণরূপে জাতিসংঘ সনদের পরিপন্তুী। তিনি ২৬ মার্চে সামরিক হস্তক্ষেপের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, দেশে শান্তি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যেই এ ব্যবস্থা নিতে হয়েছিল। সেনা বাহিনী শুধুমাত্র দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিয়েছে। দুষ্কৃতিকারীদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) হাত থেকে তারা দেশকে রক্ষা করেছে মাত্র। বাণীতে তিনি তার ‘মহান্তু উদ্দেশ্যের ব্যাখ্যা করে বলেন, আমার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা।
‘মুক্তি সংগ্রামের বিরোধিতা’ এ নীতিতে একমত থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতা বিরোধীরা বিভিন্ন দল ও উপদলে বিভক্ত ছিলো। বিভিন্ন দলে বিভক্ত এ স্বাধীনতা বিরোধীদের মধ্যে সমন্বয়কারীর কাজ করতেন সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হামিদুল হক চৌধুরী।
এদিন হামিদুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নেতৃস্থানীয় রাজনীতিক ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক গভর্নর টিক্কা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। টিক্কা খানকে তারা নিশ্চয়তা দিয়ে বলে যে, দুষ্কৃতিকারীদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) উচ্ছেদ করতে তারা সেনা বাহিনীকে পূর্ণ সহযোগিতা করবে। দুষ্কৃতকারী (মুক্তিযোদ্ধাদের) দমনে সহায়তা করা তাদের পবিত্র দায়িত্ব। এদের মধ্যে ছিল- ঘাতক গুরু জামাত নেতা অধ্যাপক গো’ আযম, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের তথাকথিত পীর মোহসেন উদ্দিন, আইনজীবী এ.টি. সাদী প্রমুখ। হামিদুল হক চৌধুরী এক বিবৃতির মাধ্যমে এদিন জানান, পূর্ব-পাকিস্তানের জনগণ আর যা কিছু চাক না কেন কিছুতেই দেশের ঐক্য বিনষ্ট করতে চায় না। তিনি পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক গণহত্যা এবং বোমা বর্ষণের কথা অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের আজগুবি খবর প্রচার করে ভারত বাঙালীদের মধ্যে বিভেদ এবং বিশ্ব জনমতকে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিতে চায়।
জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আগাশাহী জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতের কার্যকলাপের প্রতিবাদ জানান। জাতিসংঘ সেক্রেটারি জেনারেল উথান্টের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি জানান, উথান্ট পূর্ব-পাকিস্তানের ঘটনাকে সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে মনে করে। ভারতীয় দস্যুদের সাহায্যের আশায় এখনও যারা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে; তাদের আশা কোনদিন সফল হবে না বলে জানায় পুর্ব-পাকিস্তান জমিয়তে ইত্তেহাদুল ওলামার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মফিজুল হক। এক বিবৃতিতে সে বলে যে, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় আদর্শ বোকার স্বর্গে বাস করবে।
ধুরন্ধর ধর্মব্যবসায়ী জামাতের প্রধান মাওলানা মওদুদী বাংলাদেশ আন্দোলনের ফলাফল সম্পর্কে পূর্ব-পাকিস্তানের মুসলমানদের সতর্ক করে দিয়ে বলে যে, যদি পূর্ব-পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয় তবে মুসলমানরা তাদের স্বাধীনতা হারাবে। তারা হিন্দুদের নিম্নতম দাসে পরিণত হবে। আর তাই সে পূর্ব-পাকিস্তানের মুসলমানদের প্রতি আহবান জানায় তথাকথিত ‘বাংলাদেশ’ আন্দোলনকে ধ্বংস করে দেয়ার। সে সশস্ত্র বাহিনীর কার্যকলাপকে সঠিক ও সময়োপযোগী বলে আখ্যায়িত করে। সেই সঙ্গে জানায়, কোন সেনা বাহিনীই বিদ্রোহীদের প্রশ্রয় দিতে পারে না।
(তথ্যসূত্র: দৈনিক পূর্বদেশ, ধর্মব্যবসায়ী ঘাতক জামাতীদের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম ৭, ৮, ১২ এপ্রিল, ১৯৭১ ঈসায়ী।)

-: Character of Rajaker and Jamat :-

ফিরে দেখা ইতিহাস
ঘাতক রাজাকার, আল-বাদর মওদুদী জামাতী, দেওবন্দী খারিজী, ওহাবী সালাফীদের দিনলিপি
৫ এপ্রিল, ১৯৭১ ঈসায়ী

পিডিপি প্রধান নুরুল আমিনের বেতার ভাষণ প্রচারিত হয় এদিন। ভাষণে সে ভারতীয় সংসদে প্রস্তাব গ্রহণের তীব্র সমালোচনা করে বলে যে, ভারত অনুপ্রবেশকারী পাঠিয়ে প্রকাশ্যে পূর্ব-পাকিস্তানে বিদ্রোহ উস্কে দিচ্ছে। তাছাড়া ভারতের ঘৃণ্য প্রচারণা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এ সব কিছুই প্রমাণ করে অন্য দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি ভারতের নূন্যতম সম্মানবোধও নেই। সে অযথা হস্তক্ষেপ সম্পর্কে ভারতকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলে যে, দ্বিধাহীন চিত্তে বলতে চাই, আমাদের সার্বভৌমত্বের উপর অন্যকোন দেশের হস্তক্ষেপ আমরা সহ্য করবো না। পাকিস্তানের মাটিতে যেকোন ধরনের বহিঃশত্রুর হস্তক্ষেপ সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করা হবে।
রেডিও ভাষণ দেয় পিডিপি সহ-সভাপতি মৌলভী ফরিদ আহমদও। সে বলে যে, পাকিস্তান ধ্বংস করার ভারতীয় চক্রান্ত জনগণের কাছে ফাঁস হয়ে গেছে। ব্রাহ্মণ্যবাদী ভারত পাকিস্তান ধ্বংস করে আমাদেরকে পুনরায় তাদের দাসে পাণিত করতে চায়। সে জানায়, হাজার হাজার বাঙালি সৈন্য দেশ রক্ষায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। অথচ ভারত দেশপ্রেমিক সৈনিকেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রচারণা চালায় যে, বাঙালি সৈনিকদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে।
স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরুদ্ধে বিষোদগার তুলে বিবৃতি দেয় পাকিস্তান মুসলিম লীগের (কাইয়ুম) সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল খান এ সবুর। সে বলে যে- এটা এখন একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, শেখ মুজিব এবং তার আওয়ামী লীগের ৬ দফা পূর্ব-পাকিস্তানের সরল জনগণকে প্রতারণা করার একটা আবরণ ছিলো মাত্র। এবং প্রকৃতপক্ষে তা ছিলো ফ্যাসিবাদী পন্থায় নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার সূক্ষ্ম চাল।
সবুর খান তার বিবৃতিতে সামরিক বাহিনীর বিভীষিকাময় হত্যাযজ্ঞকে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সময়োচিত ব্যবস্থা গ্রহণ বলে উল্লেখ করে। সে জানায়, সেনা বাহিনীর হস্তক্ষেপের ফলেই পাকিস্তান রক্ষা পেয়েছে। সেনা বাহিনী হস্তক্ষেপ না করলে দুষ্কৃতিকারীরা পাকিস্তান ধ্বংস করে দিতো।
এদিন বিবৃতি দেয় কাউন্সিল মুসলিম লীগের ১১ জন ধাড়ি নেতা। বিবৃতিতে ঘাতক নেতারা পাকিস্তানের অখণ্ডতা ও সংহতি রক্ষায় তাদের দৃঢ় মনোভাব প্রকাশ করে। তারা জানায়, পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই ভারত শত্রুতা করে আসছে। বর্তমানে মিথ্যা প্রচারণা ও পার্লামেন্টে প্রস্তাব প্রহণ করে পাকিস্তান ধ্বংসের একটি নয়া পদক্ষেপ নিয়েছে। বিবৃতিদাতারা হচ্ছে- দলের সহ-সভাপতি একিউএম শফিকুল ইসলাম, আবুল কাসেম, জেনারেল সেক্রেটারি খাজা খয়ের উদ্দিন, আতাউল হক খান, আতাউল হক, নূরুল মজুমদার, সেরাজুদ্দিন, এ মতিন প্রমুখ। নেতারা দেশদ্রোহী শত্রুদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেবার জন্যে দেশবাসীর প্রতি জোর আবেদন জানায়।
যেকোন মূল্যে পাকিস্তানের সংহতি বজায় রাখার উপর এদিন গুরুত্ব আরোপ করে মুসলিম লীগ প্রধান খান আব্দুল কাউয়ূম খান। সে জানায়, সংহতি বিনষ্ট হলে আমাদের ধ্বংস অনিবার্য। নূন্যতম সুযোগ পেলেই দুষ্কৃতিকারীরা (মুক্তিযোদ্ধারা) পাকিস্তানের অখণ্ডতা বিপন্ন করে তুলবে। তাই সে সরকার এবং জনগণ উভয়কেই দুষ্কৃতিকারীদের প্রতি নজর রাখার আহবান জানায়।
সামরিক আইন কর্তৃপক্ষের প্রচারিত এক প্রেসরিলিজে এদিন বলা হয়, পূর্ব-পাকিস্তানের শান্তিপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক জনগণ দুষ্কৃতিকারীদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা কোথাও পাত্তা পাচ্ছে না। বর্তমানে তারা নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছে। নিরীহ জনসাধারণকে হয়রানি এবং লুটতরাজ তাদের একমাত্র কাজ। প্রেসরিলিজে বাহবা দিয়ে বলা হয়, এদের হাত থেকে জনগণকে উদ্ধার করতে সেনা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। অভিযান চালাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে।
ধর্মব্যবসায়ী ঘাতক জামাতীদের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম এদিন দেশের পরিসি'তি বর্ণনা করে বলে যে, পূর্ব-পাকিস্তানের অবস্থা ক্রমশঃ শান্ত হয়ে আসছে। জনগণের মনে জেগেছে আস্থার ভাব। দেশে ৭টি দৈনিক পত্রিকা বর্ধিত কলেবরে প্রকাশিত হচ্ছে। দেশবাসী উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, তাদের পাশে বীর সেনা বাহিনী রয়েছে।
(তথ্যসূত্র: দৈনিক পূর্বদেশ, ধর্মব্যবসায়ী ঘাতক জামাতীদের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম ৫, ৬, ৭ এপ্রিল, ১৯৭১ ঈসায়ী।)

আলবাদর হেড কোয়ার্টারে পাওয়া গিয়েছিল এক বস্তা চোখ

 রাজাকার নিজামী গংরা এদেশের মানুষকে ইসলামের নামে মওদুদীবাদে দীক্ষিত করে সংগ্রাম থেকে বিরত রাখতে চেয়েছিলকিন্তু ব্যর্থ হয়ে এসব গোঁড়া ধর্মান্ধরা হয়ে এদেশের মানুষের উপর কাপুরুষোচিত হত্যাকা- চালিয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছিলসেদিন বাঙালি হত্যায় কি পাশবিক উল্লাসে মেতেছিল এসব হায়েনার দল তা ১৯৭২ সালে ১৯ জানুয়ারি দৈনিক পূর্বদেশে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন হতে জানা যায়

দৈনিক পূর্বদেশ তৎকালীন বর্ষিয়ান নেতা মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, হানাদার পাকবাহিনীর সহযোগী আলবাদররা পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের পর যখন পালিয়ে যায় তখন তাদের হেড কোয়ার্টারে পাওয়া গেল এক বস্তা বোঝাই চোখএদেশের মানুষের চোখআলবাদরের খুনিরা তাদের হত্যা করে চোখ তুলে বস্তা বোঝাই করে রেখেছিল

বয়ো বৃদ্ধ মাওলানা খেদোক্তি করে আরো বলেন- খুনিদের এই বাহিনীর নাম দেয়া হলো আলবাদর বাহিনীএকি কোন মনঃপুত নাম? যে বদর যুদ্ধ ছিল আদর্শের জন্য, ইসলামের প্রথম লড়াই, সেই যুদ্ধের সাথে কি কোন সংযোগ এই নৃশংসতার মধ্যে ছিল? মাওলানা বলেন, হানাদারদের সহযোগী এই আলবাদর বাহিনী শুধু ইসলামের শত্রু নয়, এরা হলো জালিম

আলবাদরের এই নৃশংসতার সাথে চীনের অত্যাচারী সম্রাট চেংসিয়েন চুং-এর হিংস্রতার সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়আন্দোলনকারী গ্রামবাসীদের সে নির্বিচারে হত্যা করেই শান্তি পায়নিসৈন্যদের নির্দেশ দিয়েছিল নিহত গ্রামবাসীদের কান এবং পায়ের পাতা কেটে আনার জন্য, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মৃতদেহগুলো রাজধানীতে আনা অসুবিধা মনে করে সে এই নির্দেশ দিয়েছিলএই কান ও পায়ের পাতা নাকি পিরামিডের মত উচু হয়েছিল; আর তাই দেখে নাকি প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজা পরম তৃপ্তি অনুভব করেছিলতেমনিভাবে ঘাতক নিজামীরাও বুদ্ধিজীবীদের মৃতদেহ আলবাদরের হেড কোয়ার্টারে আনা অসুবিধা বিধায় শুধু চোখ উপড়ে এনে জমা করে পৈশাচিক উল্লাসে মেতেছিল(সঙ্কলিত)

রাজাকার রিয়াছাত আলী wek^v‡mi হাক্বীকত

২৯ wW‡m¤^i/2008 ঈসায়ী অনুষ্ঠিত ৯ম সংসদ নির্বাচনে আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা-৩ আসন থেকে চারদলীয় জোট প্রার্থী হয়েছিল জমায়েতে মওদুদী নেতা এএম রিয়াছাত আলীতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের গুরুতর অভিযোগ রয়েছেতার কুকর্মের বিষয়টি জাতীয় পত্রিকাসমূহে তুলে ধরেফলে নির্বাচনে তার শোচনীয় ভরাডুবি হয়

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সে ছিলো সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ঘাতক শান্তিকমিটির সেক্রেটারিরাজাকার হিসেবে পরিচিত এই জামাত নেতার বিরুদ্ধে একাত্তরে শ্যামনগর ও কালীগঞ্জ থানায় মুক্তিযোদ্ধাদের নির্বিচারে হত্যার গুরুতর অভিযোগ রয়েছেনিহত এই মুক্তিযোদ্ধাদের একজন হলেন কালীগঞ্জের ইউনুস

আশাশুনি ও শ্যামনগরের বাসিন্দারা জানান, একাত্তরের আগস্ট মাসে খুলনার কয়রা উপজেলার খুকরোঘাটি লঞ্চঘাটে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়েছিল স্থানীয় রাজাকার কমান্ডার রিয়াছাতসেখান থেকে তাকে নেয়া হয় কয়রার মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পেক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন তারই প্রতিবেশী বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানতখন পবিত্র রমযান মাসমুক্তিযোদ্ধা মতিয়ারের মহানুভবতায় প্রাণভিক্ষা পায় রিয়াছাতনিরাপদে তাকে পৌঁছে দেয়া হয় আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের নিজ বাড়িতেকিন্তু ¯^vaxbZvi ৩১ বছর পর আবারো পুরনো দিনে ফিরে যায় ঘাতক রিয়াছাত আলী wek^vm| অভিযোগ রয়েছে, একদিন যে মুক্তিযোদ্ধা তাকে প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন, ২০০১ সালে সেই মতিয়ার রহমানের বাড়িতেই অগ্নিসংযোগ করে এই কুখ্যাত কৃতঘ্ন ঘাতক রিয়াছাত

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থাকলেও রাজনীতিতে রিয়াছাত আলী wek^vm এখন বেশ শক্তিশালীতাই এবারের ৯ম সংসদ নির্বাচনে সে চারদলীয় জোট থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলইতঃপূর্বে একই আসন থেকে পরপর দুবার সাংসদ নির্বাচিতও হয় সেএর আগে একবার †g¤^vi ও একবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলতার বাবা সাতক্ষীরার আশাশুনির কুড়িকাহনিয়া গ্রামের মৃত আলী wek^vm পেশায় ছিল দর্জি

রিয়াছাত আলী wek^v‡mi জন্ম সাতড়্গীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামেএকাত্তরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান জানান, নদী পথে এ অঞ্চলের মানুষের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল খুলনা শহরের সঙ্গেমুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই রিয়াছাত আলী wek^v‡mi নেতৃত্বে গঠিত হয় শান্তিকমিটিযুদ্ধ চলাকালে খুলনার পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করত রিয়াছাত

১৯৭১-এর জুনে মেজর আব্দুল জলিলের লঞ্চডুবি হয় সুন্দরবন সংলগ্ন গাবুরা এলাকার খোলপেটুয়া নদীতেকোনোভাবে নদী সাঁতরে প্রতাপনগর গ্রামে চলে আসেন ওই লঞ্চে থাকা বরিশাল অঞ্চলের ৯ মুক্তিযোদ্ধাকিন্তু রক্ষা পান নাখবর পেয়ে প্রতাপনগর ঘিরে ফেলে রাজাকার রিয়াছাত আলী ও তার লোকজন৯ মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে নিয়ে যায় খুলনার পাকসেনা ক্যাম্পেএরপর ওই ৯ মুক্তিযোদ্ধার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি

মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান আরো জানান, রিয়াছাত আলীর সহযোগিতায় একাত্তরের জুলাই মাসে পাঞ্জাব রেজিমেন্টের পাকসেনারা গানবোটে চড়ে প্রতাপনগর গ্রামে হানা দেয়তারা ওই গ্রামের খগেন সরকারকে খুলনার ক্যাম্পে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেএর কিছুদিন পর একই গ্রামের সোহরাব ও জনাব আলীকে একইভাবে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় পাকিস্তানি সেনাক্যাম্পেএ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও বাগেরহাট এলাকার ভারতগামী শরণার্থীদের নৌকা আটকে লুটপাট করা ছিল রিয়াছাত আলী ও তার লোকজনের কাজ

১৯৯১ সালে রিয়াছাত আলী wek^vm প্রথম সাতক্ষীরা-৩ আসন থেকে জামাতের টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হয়১৯৯৬ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছেতবে ২০০১-এর নির্বাচনে সে একই আসন থেকে আবার সাংসদ নির্বাচিত হয়নির্বাচিত হওয়ার মাত্র কয়েকদিনের মাথায় তারই ইন্ধনে জামাতের ক্যাডার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের বাড়ি লুটপাটের পর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছেপরিবার-পরিজন নিয়ে পালিয়ে না গেলে সেদিন সপরিবারে প্রাণ হারাতেন মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান

আরো অভিযোগ রয়েছে, গত জোট সরকারের আমলে রিয়াছাত আলীর পরিবারের সদস্যরা যেন বেপরোয়া হয়ে উঠে২০০১ সালের নির্বাচনের পর রাতারাতি দখল করে নেয় মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের দুটিসহ আওয়ামী সমর্থকদের কয়েকটি চিংড়ি ঘেরসে সাতক্ষীরা ও পাটকেলঘাটায় নির্মাণ করেছে আলিশান বাড়িবড় ছেলে জুলফিকার হোসেন মাদরাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি ঘের ব্যবসা দেখাশোনা করছেমেজো ছেলে নুরুল আফছার সাতক্ষীরার বড় ব্যবসায়ীরয়েছে একটি কম্পিউটার সার্ভিসিং সেন্টার ও আরএসও নামে একটি এনজিওবড় ছেলের সরকারি খাল দখলের বিষয়টি আশাশুনিতে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তোলে১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আশাশুনি হাসপাতালের কাজের দরপত্রের m^”QZv নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জনৈক বিএনপি নেতা(সঙ্কলিত)

রাজাকার মাওলানা হাবিবুর রহমান সিলেটী

৯ম সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ (গোপালবাগ-বিয়ানীবাজার) থেকে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হয়েছিল জমায়েতে মওদুদীর নেতা মাওলানা হাবিবুর রহমানকিন্তু শেষ রক্ষা হয়নিযামানার তাজদীদী মুখপত্র দৈনিক আল ইহসানে ৭১-এর এসব ঘাতক রাজাকারের হাক্বিক্বত তুলে ধরা হলে সাধারণ মানুষ সচেতন হয়ে উঠেঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান ধর্মব্যবসায়ী রাজাকারদের

রাজাকার হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন জমায়েতে মওদুদীর রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকার পর ২০০৭ সালের স্থগিত হয়ে যাওয়া ২২ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রথম আলোচনায় আসে১৯৭১ সালের মহান ¯^vaxbZv যুদ্ধের সময় এই ঘাতক নেতা তৎকালীন জমায়েতে মওদুদী ক্যাডারভিত্তিক ছাত্র সংগঠন ছাত্রসংঘের নেতা ছিলছাত্রসংঘ মহান ¯^vaxbZv যুদ্ধের সময় রাজাকার, আলবাদর বাহিনী তৈরিতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলএই সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ছাত্রসংঘের দ্বারা সমগ্র বাংলাদেশের একটি ঘাতক জল্লাদ বাহিনী তৈরি করেমাওলানা হাবিবুর রহমানকে নিয়ে ইতোমধ্যে একাধিক মিডিয়ায় যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার হিসেবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে(সূত্র- বাংলাদেশ সাপ্তাহিক: ১ম বর্ষ সংখ্যা-৩২)


রাজাকার মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীর হাক্বীক্বত

নবম সংসদ নির্বাচনে জকিগঞ্জ-কানাইঘাট উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৫ আসন থেকে চারদলীয় জোট প্রার্থী হয়েছিল জমায়েতে মওদুদীর কর্মপরিষদ সদস্য মাও. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীএকাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সে ছিলো ছাত্রসংঘের সিলেট জেলা সভাপতি ও সিলেট আলবাদর বাহিনীর কমান্ডারএকাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিকভাবে ¯^vaxbZvi বিরোধিতা করে তৎকালীন ছাত্রসংঘ (বর্তমান শিবির) কর্মীরা পাক সেনাদের পড়্গ নেয়সে দলে মাও. ফরিদ উদ্দিনও ছিলোসিলেট ও কানাইঘাটের একাধিক মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একাত্তরে ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী সিলেট এমসি কলেজে বিএ শ্রেণীতে পড়তোঐ সময় সে ছাত্রসংঘের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলপাক সেনাদের সহযোগিতা করতে স্থানীয় দোসরদের নিয়ে গঠিত হয় আলবাদর বাহিনীফরিদ উদ্দিন ছিলো সেই বাহিনীর কমান্ডারসিলেটের খাদিমপাড়ার ৩১ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের হেড কোয়ার্টারে সভা করে ফরিদ উদ্দিন আলবাদর বাহিনী গঠন করে বলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেনতারা বলেছেন, ঐ সময় পাক সেনাদের সঙ্গে সেও মুক্তিযোদ্ধা নির্যাতন ও সম্পদ লুটপাটে অংশ নেয়

সিলেট বিভাগীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার এস সি জুয়েল জানান, সিলেটে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতন ও সম্পত্তি লুটপাটই ছিল ফরিদ উদ্দিনের কাজতবে সিলেটের চেয়ে কানাইঘাটেই সে বেশি ধ্বংসাত্মক কর্মকা- চালিয়েছিলো বলে মন্তব্য করেন তিনিসিলেট আলবাদর বাহিনীর কমান্ডার ছিলো সে

মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন জানান, সিলেটে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে সংগঠিত করার দায়িত্বে ছিলো ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীস্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা আরো জানান, দেশ ¯^vaxb হওয়ার পর আত্মগোপনে চলে যায় ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীআশির দশকে জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীর মতো সে পুনর্বাসিত হয়কিছুদিন সিলেটের গহরপুর মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করেএরপর শাহজালাল জামেয়া মাদরাসা স্থাপন করে বনে যায় প্রিন্সিপালনিজের নামের আগেও যোগ করে অধ্যড়্গ উপাধিবিগত জোট সরকারের আমলে জমায়েতে মওদুদীর টিকিটে সিলেট-৫ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়(সঙ্কলিত)

 

জামাত নেতা আঞ্জু রাজাকার বহু মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে মারে

 রাজারকার ইনফো: যে ঘাতকের ভয়ে একাত্তরে ৯ মাস আতঙ্কিত ছিল নেত্রকোনার মানুষ- তার নাম হেদায়েতউল্লাহ (আঞ্জু) বিএসসিগোলাম এরশাদুর রহমান রচিত নেত্রকোনার মুক্তিযুদ্ধ গ্রন্থে এই কুখ্যাত রাজাকারের উল্লেখ আছেতার হিংস্রতার প্রত্যক্ষদর্শী বয়োবৃদ্ধরা তার নাম শুনে আজো শিউরে উঠেনদৈত্যদানবের গল্প শুনে শিশুরা যেমন ভয়ে ঘুমিয়ে পড়ে তেমনি এই মানবরূপী দানবের নাম শোনামাত্রই শিশুরা কান্না থামিয়ে ঘুমিয়ে পড়তো বলে জানিয়েছেন অনেকেইলোকে বলে, কুখ্যাত এই রাজাকার একাত্তরে ব্যবহৃত তার খাকি পোশাকের ব্যাগটি অতি যত্ন সহকারে রেখে দিয়ে আজো তার পাকিস্তানি গোলামীর স্মৃতি মনে রেখে গর্ববোধ করে

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, তৎকালীন নেত্রকোনা মহকুমা ও পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজসহ অসংখ্য কু-কর্মের নায়ক এই আঞ্জু রাজাকার১৯৭০এর প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে মদন, খালিয়াজুরী ও আটপাড়া থানার কিয়দংশ নিয়ে গঠিত আসনে ধর্মব্যবসায়ী জামাত প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িপাল্ল­া প্রতীকে নির্বাচন করে সে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়উগ্র জঙ্গিবাদী চেতনায় বিশ্বাসী আঞ্জু রাজাকার আজো চরম মানবতাবিদ্বেষীপ্রথমে জাহাঙ্গীরপুর টি. আমিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং পরে নেত্রকোনার চন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে ¯^vaxbZvi পূর্ব পর্যন্ত শিড়্গকতা করেছেএক সময় জামাতী মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় কর্মরত ছিল বলেও জানা যায়আটপাড়া উপজেলার কুলশ্রী গ্রামে জন্মগ্রহণকারী, পাকিস্তানি বাহিনীর এই কুখ্যাত দালাল ছিল নেত্রকোনা মহকুমা শান্তিকমিটির অন্যতম সংগঠকমুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর নিজ ইউনিয়ন সুখারীতে আব্দুল হককে (ফক্কু) সভাপতি এবং সোনাকানিয়ার মজিবরকে সদস্য সচিব করে সে এই তথাকথিত শান্তিকমিটি গঠন করেকমিটির অন্য সদস্যরা ছিল তার আপন ভাই এনায়েত উল্লাহ্‌ (মঞ্জু), নিজ গ্রাম কুলশ্রীর সোহরাব ফকির, দারগ আলী, নবাব মিয়া, ইসলাম উদ্দিন; সুখারী গ্রামের ইছার উদ্দিন, বাছির, সাহেদ আলী, চান খাঁ, খালেক, ফজর আলী, ডা. জবর উদ্দিন, আমির উদ্দিন, হাতিয়ার ওয়াহেদ আলীসহ আরো অনেকেমুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস এরা এলাকায় হত্যা, লুটপাট, রাহাজানি, অগ্নিসংযোগ ছাড়াও ¯^vaxbZvKvgx জনতার ধান-চাল, গবাদি পশু, টাকা-পয়সা ও ঘরের চালের টিন লুট করে

সুখারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীন জানান, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পাক বাহিনীকে নিয়ে আঞ্জু রাজাকার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের দেওয়ান বাড়িসহ মধ্যখালী গ্রাম এবং মঙ্গলশ্রী গ্রামের বহু ঘর-বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে ও লুটপাট করেজাহাঙ্গীরপুর গ্রামের মুদাচ্ছের হোসেন শফিক জানান, টি. আমিন স্কুলে শিক্ষকতার সময় জাহাঙ্গীরপুরের দেওয়ান হাবিবুল্লাহর ঘরে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল হেদায়েতউল্লাহ আঞ্জু্‌রমুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার অপরাধে এই নিমকহারাম দেওয়ান হাবিবুল্লাহ্‌ ও বিশিষ্ট সমাজসেবক দেওয়ান আফরোজ বখতের বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেয়
প্রকাশ্য দিবালোকে আঞ্জু রাজাকার সুখারী গ্রামের ৭ নারীকে ধরে মদন থানা আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে লাশ মগড়ার পানিতে ভাসিয়ে দেয়আঞ্জু রাজাকার ও তার সহযোগীরা অনেক পরিবারের জমিজমাও দখল করে নেয়
জানা গেছে, যুদ্ধকালীন স্থানীয় জামাত নেতাদের দেয়া ড্যান্ডি কার্ড (আইডেনটিটি কার্ডকে পাকিস্তানি সৈন্যরা উচ্চারণ করত এভাবে) না থাকলে তারা ব্যবসায়ীদের মালামাল ও নগদ অর্থ কেড়ে নিত

¯^vaxbZvi পর ঘাতক আঞ্জু রাজাকার পালিয়ে গিয়ে রাজশাহীতে তার শ্বশুরালয়ে আশ্রয় নেয় এবং বর্তমানে সেখানেই বসবাস করছেযুদ্ধের পরে তার গ্রামের বাড়ির পুকুর থেকে শত শত বান্ডেল লুট করা টিন এবং কাঁসা ও কাঁচের অসংখ্য বাসন-কোসন উদ্ধার করা হয়এলাকাবাসী আজো তার কুকীর্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যাশায় প্রহর গুনছে (০৬ wW‡m¤^i ২০০৭ ঈসায়ীর জাতীয় দৈনিক পত্রিকার তথ্য Aej¤^‡b)